অনলাইন ডেস্ক
পুরস্কারজয়ী স্থাপত্য শিল্পীদের সঙ্গে অলট্রুইজম বা পরার্থপরতা শব্দটি সচরাচর উল্লেখিত হয় না। এক্ষেত্রে শিল্পীর বিশেষ স্থাপত্যকর্ম নিয়েই আলোচনা হয়। কিন্তু এবার খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া একজন স্থপতির সঙ্গে এই শব্দটি জড়িয়ে গেছে। তিনি গতানুগতিক ধাঁচের কোনো ব্যক্তি নন। তিনি বাংলাদেশের মেরিনা তাবাশ্যুম।
গতকাল বুধবার ২০২৪ সালের বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম। তাতে উদ্ভাবক শ্রেণিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের এই নারী স্থপতি। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও শিল্পী শ্রেণিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকায় অনেকের মধ্যে আরও রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ পরিচিত অনেক মুখ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সাধারণত পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে জড়িয়ে পরার্থপরতা শব্দটি আলোচতি হয় না। কিন্তু মেরিনা তাবাশ্যুম সাধারণ নন। স্থাপত্য শিল্পে তিনি এমন রীতির উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি ধরিত্রীর সামনের হুমকিগুলো প্রাধান্য পায়।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম দেশ। সেই ঝুঁকি বিবেচনা করে মেরিনা তাবাশ্যুম এমন এক ধরনের বাড়ি তৈরি করেছেন, যা কম খরচে তৈরি করা যায় এবং সহজে স্থানান্তরও করা যায়।
সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামে একটি শৈল্পিক মসজিদের নকশা করে প্রথম আলোচনায় আসেন মেরিনা তাবাশ্যুম।
এই মসজিদের নকশার জন্য ২০১৬ সালে সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার ও ২০১৮ সালে ঢাকার ‘জামিল প্রাইজ’ পান তাবাশ্যুম তিনি।