ফিচার ডেস্ক
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান আমেরিকার পার্ল হারবারে আক্রমণ করে। সে সময় অন্যান্য জায়গার মতো হিকাম ফিল্ড স্টেশন হাসপাতালেও আছড়ে পড়ছিল একের পর এক বোমা। ৪৭ বছর বয়সী অ্যানি জি ফক্স সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। একদিকে হাসপাতালে ভর্তি আহত সৈন্য, অন্যদিকে টর্পেডো, বোমা, মেশিনগান এবং বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রের বিরামহীন গোলাবর্ষণ। এসবের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে দক্ষতার সঙ্গে নিজের কাজ করেছিলেন ফক্স। তাঁর শান্ত থাকা, সাহস ও নেতৃত্ব সবার মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই সাহসিকতার জন্য পরে ব্রোঞ্জ স্টার পুরস্কারে ভূষিত হন ফক্স। ব্রোঞ্জ স্টার যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর চতুর্থ সর্বোচ্চ যুদ্ধ পুরস্কার।
আক্রমণের সময় নিজেদের কাজ ঠিকমতো করার জন্য আরও চার নার্সকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা হলেন ক্যাপ্টেন হেলেনা ক্লিয়ারওয়াটার, ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট এলিজাবেথ এ পেসুট, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট এলমা এল অ্যাসন এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রোজালি এল সোয়েনসন। প্রত্যেকে ‘অসাধারণ বিশ্বস্ততা এবং অপরিহার্য সেবা’র জন্য লিজিয়ন অব মেরিট সম্মান অর্জন করেছিলেন।
লেফটেন্যান্ট ফক্স ছিলেন হিকাম ফিল্ড স্টেশন হাসপাতালের প্রধান নার্স।
৩০ শয্যার হাসপাতালটি ১৯৪১ সালের নভেম্বর মাসে চালু হয়েছিল ছয়জন নার্স নিয়ে। ফক্স প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে আর্মি নার্স কর্পসে যোগ দেন। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে সব ধরনের পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন তিনি।