অলিম্পিক গেমস, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এটি সাধারণ ক্রীড়াবিদদের জাতীয় নায়ক, চ্যাম্পিয়নদের সেলিব্রিটি এবং প্রজন্মের প্রতিভাকে কিংবদন্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা রাখে। বছর ঘুরে অলিম্পিকে এমন অনেক নারীই আসেন, যাঁদের সংগ্রাম ও অর্জনের গল্পগুলো গর্বের সঙ্গে উঠে আসে বিশ্ব দরবারে। শুধুই সোনা, রুপা আর ব্রোঞ্জ পদকের রেকর্ডের গল্প নয়, অলিম্পিক অনেকটাই জীবনের গল্পও বলে যায়। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবারের অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক গেমসে সমানসংখ্যক পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্যারিস অলিম্পিকে এ পর্যন্ত অনেক নারী অ্যাথলেট গড়েছেন রেকর্ড। তাঁদের অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এসেছেন এই বিশ্বমঞ্চে। তাঁদের হাত ধরে প্যারিসের হালকা বাতাসে উড়েছে বিভিন্ন দেশের পতাকা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনের ইয়ারোস্লাভা মাহুচিখ ৪ আগস্ট স্ট্যাডে ডি ফ্রান্সে নারীদের হাই জাম্পের ফাইনালে সোনার পদক জিতেছেন। এদিকে শেলি-অ্যান জ্যামাইকার আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন মেয়েদের ১০০ মিটার দৌড়ে। কিন্তু এবার সবাইকে চমকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা। ১৯৯৬ সালের পর আমেরিকান নারী দৌড়বিদেরা একই ইভেন্টে দুটি পদক জিতেছেন। এবার বিশ্বের নতুন দ্রুততম মানবী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জুলিয়েন আলফ্রেড। আর একই ইভেন্টে ১০ দশমিক ৮৭ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে রুপার পদক জিতেছেন শাকারি রিচার্ডসন। দলগত বিভাগ ও অলরাউন্ড ফাইনালে সোনার পদক পাওয়ার পর ভল্ট ফাইনালেও ব্যক্তিগতভাবে সোনার পদক জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস।