ফিচার ডেস্ক
লৈঙ্গিক বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে ওঠা মানুষ প্যাট্রিসিয়া বাথ। কৃষ্ণাঙ্গ এই নারী এমন সময় চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, যখন কোনো নারী অস্ত্রোপচার করতেন না। তিনি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী চিকিৎসক, যিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিজের আবিষ্কারের জন্য পাঁচটি পেটেন্ট পেয়েছিলেন।
চক্ষু চিকিৎসায় কিংবদন্তিতুল্য এই চিকিৎসক বলেন, ‘মানবতার প্রতি ভালোবাসা এবং অন্যদের সাহায্য করার আবেগ আমাকে একজন চিকিৎসক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।’
‘লেজার ফ্যাকো’ শব্দটির সঙ্গে এখন আমাদের দারুণ পরিচয়। জেনে অবাক হবেন। শব্দটি তৈরি করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া। চোখের ছানির অস্ত্রোপচারের জন্য এই কৌশল ও ধারণা উদ্ভাবনের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় তিনি। চক্ষুবিদ্যায় স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের নেতৃত্বদানকারী প্রথম নারীও প্যাট্রিসিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাঁর নাম আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর দ্য প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস।
তিনি নিজের গবেষণাকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সীমাবদ্ধ রাখেননি; ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ইউরোপেও। পশ্চিম জার্মানির বার্লিনের লেজার মেডিকেল সেন্টার, ফ্রান্সের প্যারিসের রথসচাইল্ড আই ইনস্টিটিউটে চোখের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তাঁর গবেষণা এবং লেজার বিজ্ঞানে দক্ষতার কারণে লেজার অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি পেটেন্ট পান। প্যাট্রিসিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ৪ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে।