হোম > নারী

প্রতিবাদী হয়ে উঠছেন আফগান নারীরা

শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা

আপাদমস্তক কালো কাপড়ে ঢাকা নারীদের দল থেকে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে একটি-দুটি বেগুনি রঙা স্কার্ফ। বর্তমানে তালেবান শাসনের অধীনে থাকা আফগানিস্তানের কাবুল শহরে প্রায়ই চোখে পড়ছে এমন দৃশ্য। এ থেকে অনুমান করা যায়, ধীরে হলেও তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন আফগান নারীরা।

চাপিয়ে দেওয়া কঠোর অনুশাসন এবং পুরুষতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আফগান নারীরা প্রায়ই মাথায় জড়িয়ে নিচ্ছেন বেগুনি স্কার্ফ। বেগুনি রঙের সঙ্গে নারীর সম্পর্কের সূচনাটা উনিশের দশকে। সে সময় থেকে বেগুনি রংকে নারীর মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এমনকি বিশ্বব্যাপী বেগুনি রংকেই নারী দিবসের প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাই মাথায় বেগুনি রঙের স্কার্ফ পরাকে নিজেদের জায়গা থেকে করা প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই দেখছেন আফগান নারীরা।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবানরা দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এর পরপরই নিষিদ্ধ করে সে দেশের নারীদের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া। নিষেধাজ্ঞা জারি করে নারীদের পার্ক ও জিমনেসিয়ামে যাওয়ার ওপরও। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তালেবানের এমন নিয়মনীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠছেন সে দেশের নারীরা। মাঝেমধ্যে কাবুলের রাস্তায় কখনো নিচু স্বরে আবার কখনো উচ্চ স্বরে শোনা যাচ্ছে তাঁদের দৃঢ় কণ্ঠও।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আফগান নারীরা নিরাপদ জায়গা থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানাচ্ছেন নিজেদের অনুভূতি। ১৮ জন নারী গল্প লিখেছেন সে দেশের নারীদের সাহস জোগাতে। তাঁদের বাস্তব জীবন থেকে রসদ নিয়ে লেখা গল্পগুলো ২০২২-এর শুরুর দিকে ‘মাই পেন ইজ দ্য উইং অব আ বার্ড’ নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত এই লেখকেরা তাঁদের কলম আর ফোন ব্যবহার করে ওই সব আফগান নারীর হয়ে কথা বলছেন, যাঁরা তালেবান শাসনের অধীনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পারানদা ও সাদাফ ছদ্মনামে কাবুলের দুই নারী লেখক তাঁদের প্রতিবাদী গোপন চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন দুনিয়ার সামনে।

অনেক কিছুর সঙ্গে নারীর অধিকার রক্ষার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় দুই দশক অতিবাহিত করে আফগানিস্তান থেকে রীতিমতো পালিয়ে গেলে সে দেশের নারীরা আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েন। তবে কারও দান করা স্বাধীনতা নয়, আফগান নারীরা এবার নিজেরাই যেন বুঝে নিতে চাইছেন নিজেদের অধিকার।

আফগান নারীরা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্যক্ষ বিক্ষোভেও। গত ১৯ জুলাই রাজধানী কাবুলে তাঁরা বিউটি পারলার বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন। কারণ, দেশজুড়ে শতাধিক বিউটি পারলার বন্ধ করে দেওয়ায় রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য নারী। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল আফগান নারীরা জাতিসংঘ সম্মেলনের আগে সম্ভাব্য তালেবান স্বীকৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন কাবুলে। এই বিক্ষোভগুলো তাঁদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠার দিকেই ইঙ্গিত করে। 
কাবুল শহরের নারীরা আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলের নারীদের চেয়ে বরাবরই নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে কিছুটা সচেতন ছিলেন, এ কথা সত্যি। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অক্ষরজ্ঞানহীন নারীরাও আজকাল এমন বন্দিজীবন নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছেন।

নারীবান্ধব হচ্ছি কবে

সর্বস্ব হারানো এক নারীর গল্প

নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার আছে

আমি একজন অফিসারের স্ত্রী

সফল সাংবাদিক আইরিন

নতুন বছরে নতুন আশা

সম্মান আমার নয়, আমার কাজের

দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন ইউজেনিয়া বোনেত্তি

পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন কাটাতে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে

পাশ্চাত্যের যে নারী প্রথম গণিত বিষয়ে বই লেখেন

সেকশন