হোম > নারী

প্রথম সৌদি হিসেবে রাহাফ আল–হারবির লক্ষ্য এবার মিস ইউনিভার্স

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি প্রতিযোগী হিসেবে আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন সৌদি আরবের রাহাফ আল–হারবি। গত বছর নাপোলিতে অনুষ্ঠিত মিস ইউরোপ মহাদেশীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। সৌদি আরবের হয়ে প্রথম এমন কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি কেড়েছেন। এবার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান। 

আরব নিউজের ‘মেম্যান শো’ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাহাফ আল–হারবি। এই শোতেই তিনি আগামী বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

আরব নিউজের পডকাস্ট ‘দ্য মেম্যান শো’তে আল–হারবি বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা বেশ কঠিন ছিল। কারণ প্রতিযোগিতার একটি পূর্বশর্ত হলো, এ ধরনের স্থানীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়ে এ ধরনের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু সৌদি আরবে তখন এ ধরনের কোনো সুযোগ ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সৌদি আরবে আমি আমার সম্ভাবনার সবটুকু পেয়ে গেছি। কারণ এখানে কোনো রানওয়ে (ক্যাটওয়াক) নেই।’ আগামীতে তিনি মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আশার কথাও জানান তিনি।

আল–হারবি যত বেশি সম্ভব ফটোশ্যুটে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা সৌদি কাপে তিনি সৌদি ডিজাইনার পাভোনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন। সে অনুষ্ঠানে আল–হারবির ছবি বেশ ভাইরাল হয়। তাঁর পরনে ছিল আল–আহসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাকৃতিক সিল্কের ওপর মুক্তার কাজ করা পোশাক। আল–আহসা ‘লাখ লাখ তাল গাছের শহর’ হিসেবে পরিচিত।

সৌদি কাপ নিয়ে আল–হারবি বলেন, ‘এটা অনেকটা মেট গালার মতো, কিন্তু আমাদের নিজস্ব ধরনে।’

এখন তিনি সৌদি ফ্যাশন কমিশনের মাধ্যমে আসন্ন সৌদি ফ্যাশন সপ্তাহের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

চিকিৎসক পরিবারে জন্ম আল–হারবি নিজেও একজন চিকিৎসক। তবে তাঁর কাছে মডেলিংকেই বেশি সৃজনশীল মনে হয়েছে। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বর্তমানে অভিনয়ের প্রতি বেশি মনযোগ দিচ্ছেন। 

সফল সৌদি সিরিজ টিভি ‘ইয়াল নোউফ’–এ কাজ করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আল–হারবি। সিরিজটি জয় অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীতও হয়। তিনি অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া আরেক সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিন ক্ষেত্রে কাজ করা নিয়ে আল–হারবি বলেন, ‘আমার মনে হয় সবই সময় ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। আমি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাজ করি। আর ফটোশ্যুটে খুব বেশি সময় লাগে না। আমি আর আমার টিম বসে সবার সুবিধামতো দিন তারিখ ঠিক করি। শ্যুটে এক থেকে তিন ঘণ্টা লাগে। এটা অনেকটা জিমে যাওয়ার মতো।’

নারীবান্ধব হচ্ছি কবে

সর্বস্ব হারানো এক নারীর গল্প

নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার আছে

আমি একজন অফিসারের স্ত্রী

সফল সাংবাদিক আইরিন

নতুন বছরে নতুন আশা

সম্মান আমার নয়, আমার কাজের

দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন ইউজেনিয়া বোনেত্তি

পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন কাটাতে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে

পাশ্চাত্যের যে নারী প্রথম গণিত বিষয়ে বই লেখেন

সেকশন