হোম > নারী

অনুসরণে, অনুপ্রেরণায়

ডেস্ক রিপোর্ট

ইলা মিত্র
বিপ্লবী হিসেবেই তাঁকে আমরা চিনি। কিন্তু তিনি প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে ১৯৪০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি মানসিকতার জন্যই ইলা মিত্র কিশোরী বয়স থেকে ছিলেন অত্যন্ত সাহসী। এই সাহসই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল রাজনীতির মঞ্চে। কলকাতার বেথুন কলেজে পড়ার সময় যুক্ত হয়েছিলেন ‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’র সঙ্গে। সেই থেকে আজীবন সাধারণ মানুষের জন্য লড়ে গেছেন তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সর্বাধিক পরিচিত ইলা মিত্র। কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন। প্রগতিশীল নারী, তুখোড় মেধাবী, খেলোয়াড়, সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি লেখক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনুবাদ করেছেন বেশ কয়েকটি রুশ গ্রন্থ। ‘হিরোশিমার মেয়ে’ গ্রন্থটি অনুবাদের জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘সোভিয়েত ল্যান্ড নেহরু অ্যাওয়ার্ড। প্রায় ৬০ বছরের সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন পার করে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মারা যান।

মার্গারেট থ্যাচার 
১৯৭৩ সালে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, হয়তো জীবদ্দশায় তিনি কোনো নারীকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখে যেতে পারবেন না। কিন্তু এর মাত্র ছয় বছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি নিজেই হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশকের শাসনামলে বিখ্যাত হয়েছিলেন আয়রন লেডি বা লৌহমানবী নামে। অক্সফোর্ড স্নাতক মার্গারেট শুধু রাজনীতিবিদ নন, ছিলেন একজন রসায়নবিদ ও আইনজীবী। পঞ্চাশের দশকে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে পরপর দুই মেয়াদে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ারের গ্র্যান্থামে ১৯২৫ সালের ১৩ অক্টোবর মার্গারেটের জন্ম। তিনি মারা যান ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল। 

রমা চৌধুরী 
চট্টগ্রামের রাস্তায় রোদে পুড়ে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে অনেকেই হয়তো এক বৃদ্ধাকে বই বিক্রি করতে দেখেছেন। তিনি আর কেউ নন, একাত্তরের জননী হিসেবে পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী। তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করা রমা ছিলেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী স্নাতকোত্তর। ১৯৭১ সালের ১৩ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পাশবিক নির্যাতন চালায় তাঁর ওপর। গানপাউডার দিয়ে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে পুড়ে যায় তাঁর সাহিত্যকর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এরপর থেকে স্বাধীনতা লাভের সময়টুকু বৃদ্ধ মা ও তিন সন্তানকে নিয়ে বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে দিন কাটান তিনি। 
প্রবন্ধ, ছড়া, ছোটগল্প, স্মৃতিকথা, ইতিহাসসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় লেখালেখি করেছেন রমা চৌধুরী। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো একাত্তরের জননী, আগুন রাঙা আগুন ঝরা অশ্রু ভেজা একটি দিন, সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নারীবান্ধব হচ্ছি কবে

সর্বস্ব হারানো এক নারীর গল্প

নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার আছে

আমি একজন অফিসারের স্ত্রী

সফল সাংবাদিক আইরিন

নতুন বছরে নতুন আশা

সম্মান আমার নয়, আমার কাজের

দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন ইউজেনিয়া বোনেত্তি

পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন কাটাতে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে

পাশ্চাত্যের যে নারী প্রথম গণিত বিষয়ে বই লেখেন

সেকশন