জীবনধারা ডেস্ক
১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে জন্ম প্রীতিলতার। চট্টগ্রাম শহরের আসকার দিঘির পাড় এলাকায় বেড়ে ওঠেন তিনি। কৈশোরে পা রেখে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের সক্রিয় হতে দেখেছেন। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনী তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করেছিল।
ইডেন কলেজে ভর্তির পর দীপালি সংঘে যোগ দিয়ে লাঠিখেলা, ছোরাখেলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ শেষে আহত হয়ে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন প্রীতিলতা।
জুনকো ১০ বছর বয়সে এক শিক্ষকের সঙ্গে ওঠেন মাউন্ট নাসুতে। প্রথম নারী হিসেবে জুনকো সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ চূড়াগুলোতে আরোহণ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ৭০টি দেশের সর্বোচ্চ পর্বতেও অভিযান করেন।
জাপানের পাহাড়ি শহর মিহারুতে ১৯৩৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন জুনকো তাবেই। ১৯৭৫ সালের মে মাসে ১৫ নারী সদস্য ও ৬ শেরপাসহ এভারেস্ট অভিযান শুরু করেন তিনি। এর আগে জয় করেন নেপালের অন্নপূর্ণা-৩, মাউন্ট ভিনসনের চূড়া এবং পুনাক জায়া। জুনকো বাংলাদেশের কেওক্রাডং অভিযানে এসেছিলেন ২০১৩ সালের জানুয়ারি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর কাওয়াগোর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
আধুনিক নারীবাদের অন্যতম পথিকৃৎ কমলা ভাসিন পেশায় ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী। রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে বেড়ে ওঠা কমলা খুব সহজে প্রান্তিক নারীদের সমস্যার কথা বুঝতেন। গ্রামাঞ্চলের নারীদের নিয়েই নয়, যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তার বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করেছেন কমলা।
কমলা রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। এরপর তিনি চলে গিয়েছিলেন পশ্চিম জার্মানির মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমলা ভারতসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন ১৯৭০ সাল থেকে।
২০০২ সালে ‘সংগত’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন কমলা। জেন্ডারতত্ত্ব, নারীবাদ ও পিতৃতন্ত্র নিয়ে বেশ কিছু বই লিখে গেছেন কমলা ভাসিন। নারীমুক্তি বা নারীর উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি পুরুষদেরও মুক্তি চাইতেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি।