যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের সম্পর্ক এক শ বছরের পুরোনো। তবে চীনের হাতের নাগালে থাকা দেশটির রাজনীতিবিদেরা ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করতে চেষ্টা করেন।
গত সোমবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়রের ছেলে মার্কোস জুনিয়র। তরুণ বয়স থেকে রাজনীতিসংশ্লিষ্ট মার্কোস জুনিয়র দীর্ঘ ১৫ বছর যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। এই সময় চীনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেড়েছে। দেশটির সঙ্গে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবসা।
সম্প্রতি মার্কোস জুনিয়র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দিকে বেশি ঝুঁকলে আপনি স্বাভাবিকভাবে চীনের শত্রু হবেন। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে আমাদের সমঝোতায় আসার বিকল্প নেই।’
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ম্যানিলা। আদালত ম্যানিলার পক্ষে রায় দেন। কিন্তু চীন তা অমান্য করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করতে থাকে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘ফিলিপাইন আমাদের পুরোনো বন্ধু।’ অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস গত মঙ্গলবার বলেন, ‘ফিলিপাইনের নতুন সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক নবায়নের চেষ্টা করব।’
ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বিশ্লেষক রোমেল বনলাওই মনে করেন, মার্কোস জুনিয়র চীনের দিকে ঝুঁকবেন, এটা স্বাভাবিক। তবে তা সীমান্ত ত্যাগের বিনিময়ে নয়। অন্যদিকে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাপ দিতে পারে।
ফিলিপাইন নির্বাচন সম্পর্কিত পড়ুন: