হোম > সারা দেশ > খুলনা

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নিয়ে কুয়েটে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বিজিবি ও সেনা মোতায়েন

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সেনাবাহিনী। ছবি সংগৃহিত

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী সদস্যরা। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে দুপুরে মিছিল বের হয়। মিছিলে ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’— এসব শ্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে নগরীর রেলগেট ও তেলিগাতিসহ আশপাশের এলাকার বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিলে উভয় পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এখন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসসংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, শিবিরের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

কুয়েট সিভিল ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে ভিসির কাছে গেলে ছাত্রদলের ছেলেরা আমাদের হুমকি দেয়। তারা সিনিয়রদের লাঞ্ছিত করে। আমরা ভিসির কাছে বিচার দিয়ে বের হয়ে আসার পর বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি। পরে আশপাশের এলাকার বিএনপির লোকজন সঙ্গে নিয়ে তারা আবার হামলা চালায়। এতে অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির মুখপাত্র মিরাজুল ইসলাম ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের কর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়েছে। তারা কুয়েটের সদস্যসচিব জাহিদকে রামদা দিয়ে ১০টি কোপ দিয়েছে, জেলার আহ্বায়ক তাসনিম ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব রাতুলের পা ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে। অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছে।’

খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেয়। পরে তাঁদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন বলেন, ‘কুয়েটের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছেন বলে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চাই।’

খানজাহান আলী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জন আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন: শোভাযাত্রার আগেই সুখবর দেবে ডিএমপি

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলের ব্যাখ্যা ও শিক্ষক–শিক্ষার্থী দ্বন্দ্বের অবসান চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা

মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা

নরসিংদীতে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম গ্রেপ্তার

ব্রি-১০৮ ধানে চমক: ২১ কেজি বীজে ২২১ মণ ফলন

গাইবান্ধায় জামায়াতের গণসংযোগ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলা, আহত ২

সাংগ্রাই উৎসবে রঙিন বান্দরবান

র‍্যাব পরিচয়ে নারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার