বাস ডাকাতির পর দুই যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ডাকাতদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে গাজীপুরের চান্দুরা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনে এ ঘটনা ঘটে।
বাসযাত্রী মজনু আকন্দ জানান, রাত ১০টার দিকে বাসটি গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিছু সময় পরই আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র—চাকু, ছুরি ও পিস্তল নিয়ে চালক, সহকারী, সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। তারা ৪০-৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়। এ সময় দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে।
ডাকাতেরা বাসটিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় নির্জন স্থানে থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মির্জাপুর থানাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ চারজন যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রামের থানা মোড় এলাকায় বাসটি আটকে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ বাসটি জব্দ করে চালক বাবলু আলী (৩০), চালকের সহকারী মাহবুব আলম (২৮) ও সুপারভাইজার সুমন ইসলামকে (৩৩) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যাত্রী ওমর আলী অভিযোগ করেন, ডাকাতদের সহায়তা করেছেন বাসের চালক ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, বাস ও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।