রিমন রহমান, রাজশাহী

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে। অভিযান চালাতে গিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতার দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার মুখেও পড়েছে প্রশাসন। তবে নীরব ভূমিকায় স্থানীয় থানা-পুলিশ।
চারঘাটের যেখান থেকে বালু ও মাটি তোলা হচ্ছে, সেই স্থানের ৩০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, ২০০ মিটারের মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দুটি সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি), ৫০০ মিটারের মধ্যে চারঘাট থানা, উপজেলা ক্যাম্পাস, উপজেলা ভূমি অফিস এবং কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা অসহায়।
সরেজমিনে যা দেখা গেল
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে বড়াল নদের তীর ধরে একটি রাস্তা সোজা চলে গেছে পদ্মার তীরে। রাস্তাটি দিয়ে একের পর এক ডাম্প ট্রাক নদী থেকে উঠে আসছে মাটি নিয়ে। খননযন্ত্র দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। সেখানে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি। এ ছাড়া দুপাশে ২০০ মিটারের মধ্যে বিজিবির চারঘাট বিওপি এবং চারঘাট বিকল্প বিওপি। একটু দূরে উপজেলা ক্যাম্পাস ও থানা। যাঁরা ঘাট চালাচ্ছেন, তাঁদের বসার জন্য টিনের একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে এই প্রতিবেদক ঘাটের কাছে গেলেই তিনজন ঘরটি থেকে বেরিয়ে এসে ঘিরে ধরেন। তাঁদের একজন চারঘাট পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সান্টু। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মো. ওয়াসিম এবং তাঁদের সহকারী জরিব হোসেন।
সান্টু জানান, তীর থেকে তাঁরা শুধু ভরাট মাটি কেটে বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন চার হাজার টাকায়। এ সময় ট্রাক চলাচলের রাস্তা ঠিক করার কাজে নিযুক্ত শ্রমিক মো. এতিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দিনরাতে শতাধিক ট্রাকে মাটি ওঠে। বেশি মাটি ওঠে রাতে। অর্থাৎ, প্রতিদিন অন্তত ৪ লাখ টাকার মাটি অবৈধভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
নেপথ্যে বিএনপি-ছাত্রদল
পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সান্টু জানালেন, তিনি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের রাজনীতি করেন। সান্টু বললেন, ‘ঘাটের মালিক মতলেব ভাই।’
মতলেবুর রহমান মতলেব উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘাটের সঙ্গে আছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনও।
তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমি এ রকম লোক না। সম্প্রতি আমি ৯টা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। গতকালই মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড আনলাম। ২৪ তারিখে কবি নজরুল অ্যাওয়ার্ড দেবে। আমি কোনো হাটঘাটের সঙ্গে নাই। জহুরুল হক জীবনও নাই।’
এদিকে সাবেক ছাত্রদল নেতা মতলেবের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকের ১২টি মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আরেক পক্ষ ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে ঘাটে সারাক্ষণ রাখা হয় অস্ত্রের মজুত। ভয়ে এলাকার লোকজন নদীতীরের দিকে যান না। কেউ সেদিকে গেলে পড়তে হয় জেরার মুখে।
তবে সাবেক ছাত্রদল নেতা মতলেবুর রহমান মতলেব বলেন, ‘বিএনপির এত দিনের বঞ্চিত সকল নেতা-কর্মী এই ঘাটের সঙ্গে আছে।’ ইজারা ছাড়াই মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বালু কাটছি না। ভরাট মাটি কাটছি। ইজারা দিলে বালু কাটব।’
সাবেক এই ছাত্রদল নেতা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। যোগাযোগ করা হলে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি মাটি কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’
বাধা দিয়ে বিপাকে প্রশাসন
তিন বছর আগেও এই বালুমহাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু পুলিশ একাডেমি, উপজেলা ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ায় বালুমহালটির ইজারা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন চারঘাট উপজেলার বালুমহালের বাস্তব অবস্থার তদন্ত প্রতিবেদন দেন। তিনি সেখানকার বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিএনপি ও সাবেক ছাত্রদল নেতারা অবৈধভাবে ঘাটটি চালু করেন। পুলিশ একাডেমি হুমকির মুখে পড়লেও থানা-পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র বলছে, বালুমহাল থেকে প্রতি সপ্তাহেই থানায় টাকা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধ ঘাট চালু করার খবর পেলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। কিন্তু লোকজনের সশস্ত্র অবস্থান দেখে তাঁরা ফিরে আসেন। এরপর ২১ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ইউএনও সেনাবাহিনীর একটি টহল দলকে সেখানে পাঠান। সেদিন সেনাবাহিনী মাটি কাটা বন্ধ করে আসে।
পরদিন ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতলেব থানায় গিয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের সঙ্গে বসে চা পান করেন। বের হন রাত ৮টার দিকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউএনওর বাসভবন লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল ছোড়া হয়। সেই রাতে ইউএনও ওসিকে ফোন করলে ওসি বলেন, পটকা ফুটেছে।
পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মতলেব ও তাঁর লোকজন ইউএনওর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সেই রাত থেকে আবারও মাটি কাটা শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এর মধ্যেই ৩১ ডিসেম্বর ইউএনও বদলি নিয়ে চলে যান। নতুন ইউএনও আসেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি আসার পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেনকে নিয়ে মাটি কাটার জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং খাসজমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন। এখানে মাটি কাটা যাবে না বলে সাইনবোর্ডও স্থাপন করেন। সেই লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড খুলে ফেলে আবারও মাটি কাটা হচ্ছে।
সর্বশেষ ১১ এপ্রিল বিকেলে সেখানে অভিযানে যান ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস, এসি ল্যান্ড আরিফ হোসেন ও থানার নতুন ওসি মিজানুর রহমান। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন মাত্র চারজন আনসার সদস্য। উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা খননযন্ত্র অকেজো করার চেষ্টা করলে সেখানে আসেন মতলেবুর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী। এই অবস্থায় যথেষ্ট ফোর্স না থাকায় অভিযান না চালিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন। ওসি সেখানে উপস্থিত থাকলেও একজন পুলিশ সদস্যও সেখানে আসেননি। তবে চারঘাট থানার ওসি মিজানুর রহমানের দাবি, তিনি প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন। থানার পাশে মাটি কাটা চলছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই।’
এসি ল্যান্ড আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা মাটি কাটা বন্ধ করতে কয়েক দফা চেষ্টা করেছি। এখন মনে হচ্ছে, সেখানে গেলে আমাদেরই নিরাপত্তার সংকট দেখা দেবে। সেখানে সার্বক্ষণিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকে। এটা বন্ধ করতে হলে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে সমন্বিত অভিযান দরকার।’
ইউএনও বলেন, ‘আমরা অবৈধ মাটি খনন দেখেছি। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে। বেশ কয়েকবার অভিযানও চালিয়েছি, কিন্তু বন্ধ হয়নি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিয়েছি। দেখা যাক, কী হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে। অভিযান চালাতে গিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতার দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার মুখেও পড়েছে প্রশাসন। তবে নীরব ভূমিকায় স্থানীয় থানা-পুলিশ।
চারঘাটের যেখান থেকে বালু ও মাটি তোলা হচ্ছে, সেই স্থানের ৩০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, ২০০ মিটারের মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দুটি সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি), ৫০০ মিটারের মধ্যে চারঘাট থানা, উপজেলা ক্যাম্পাস, উপজেলা ভূমি অফিস এবং কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা অসহায়।
সরেজমিনে যা দেখা গেল
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে বড়াল নদের তীর ধরে একটি রাস্তা সোজা চলে গেছে পদ্মার তীরে। রাস্তাটি দিয়ে একের পর এক ডাম্প ট্রাক নদী থেকে উঠে আসছে মাটি নিয়ে। খননযন্ত্র দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। সেখানে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি। এ ছাড়া দুপাশে ২০০ মিটারের মধ্যে বিজিবির চারঘাট বিওপি এবং চারঘাট বিকল্প বিওপি। একটু দূরে উপজেলা ক্যাম্পাস ও থানা। যাঁরা ঘাট চালাচ্ছেন, তাঁদের বসার জন্য টিনের একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে এই প্রতিবেদক ঘাটের কাছে গেলেই তিনজন ঘরটি থেকে বেরিয়ে এসে ঘিরে ধরেন। তাঁদের একজন চারঘাট পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সান্টু। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মো. ওয়াসিম এবং তাঁদের সহকারী জরিব হোসেন।
সান্টু জানান, তীর থেকে তাঁরা শুধু ভরাট মাটি কেটে বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন চার হাজার টাকায়। এ সময় ট্রাক চলাচলের রাস্তা ঠিক করার কাজে নিযুক্ত শ্রমিক মো. এতিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দিনরাতে শতাধিক ট্রাকে মাটি ওঠে। বেশি মাটি ওঠে রাতে। অর্থাৎ, প্রতিদিন অন্তত ৪ লাখ টাকার মাটি অবৈধভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
নেপথ্যে বিএনপি-ছাত্রদল
পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সান্টু জানালেন, তিনি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের রাজনীতি করেন। সান্টু বললেন, ‘ঘাটের মালিক মতলেব ভাই।’
মতলেবুর রহমান মতলেব উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘাটের সঙ্গে আছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনও।
তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমি এ রকম লোক না। সম্প্রতি আমি ৯টা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। গতকালই মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড আনলাম। ২৪ তারিখে কবি নজরুল অ্যাওয়ার্ড দেবে। আমি কোনো হাটঘাটের সঙ্গে নাই। জহুরুল হক জীবনও নাই।’
এদিকে সাবেক ছাত্রদল নেতা মতলেবের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকের ১২টি মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আরেক পক্ষ ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে ঘাটে সারাক্ষণ রাখা হয় অস্ত্রের মজুত। ভয়ে এলাকার লোকজন নদীতীরের দিকে যান না। কেউ সেদিকে গেলে পড়তে হয় জেরার মুখে।
তবে সাবেক ছাত্রদল নেতা মতলেবুর রহমান মতলেব বলেন, ‘বিএনপির এত দিনের বঞ্চিত সকল নেতা-কর্মী এই ঘাটের সঙ্গে আছে।’ ইজারা ছাড়াই মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বালু কাটছি না। ভরাট মাটি কাটছি। ইজারা দিলে বালু কাটব।’
সাবেক এই ছাত্রদল নেতা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। যোগাযোগ করা হলে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি মাটি কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’
বাধা দিয়ে বিপাকে প্রশাসন
তিন বছর আগেও এই বালুমহাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু পুলিশ একাডেমি, উপজেলা ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ায় বালুমহালটির ইজারা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন চারঘাট উপজেলার বালুমহালের বাস্তব অবস্থার তদন্ত প্রতিবেদন দেন। তিনি সেখানকার বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিএনপি ও সাবেক ছাত্রদল নেতারা অবৈধভাবে ঘাটটি চালু করেন। পুলিশ একাডেমি হুমকির মুখে পড়লেও থানা-পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র বলছে, বালুমহাল থেকে প্রতি সপ্তাহেই থানায় টাকা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধ ঘাট চালু করার খবর পেলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। কিন্তু লোকজনের সশস্ত্র অবস্থান দেখে তাঁরা ফিরে আসেন। এরপর ২১ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ইউএনও সেনাবাহিনীর একটি টহল দলকে সেখানে পাঠান। সেদিন সেনাবাহিনী মাটি কাটা বন্ধ করে আসে।
পরদিন ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতলেব থানায় গিয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের সঙ্গে বসে চা পান করেন। বের হন রাত ৮টার দিকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউএনওর বাসভবন লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল ছোড়া হয়। সেই রাতে ইউএনও ওসিকে ফোন করলে ওসি বলেন, পটকা ফুটেছে।
পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মতলেব ও তাঁর লোকজন ইউএনওর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সেই রাত থেকে আবারও মাটি কাটা শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এর মধ্যেই ৩১ ডিসেম্বর ইউএনও বদলি নিয়ে চলে যান। নতুন ইউএনও আসেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি আসার পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেনকে নিয়ে মাটি কাটার জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং খাসজমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন। এখানে মাটি কাটা যাবে না বলে সাইনবোর্ডও স্থাপন করেন। সেই লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড খুলে ফেলে আবারও মাটি কাটা হচ্ছে।
সর্বশেষ ১১ এপ্রিল বিকেলে সেখানে অভিযানে যান ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস, এসি ল্যান্ড আরিফ হোসেন ও থানার নতুন ওসি মিজানুর রহমান। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন মাত্র চারজন আনসার সদস্য। উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা খননযন্ত্র অকেজো করার চেষ্টা করলে সেখানে আসেন মতলেবুর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী। এই অবস্থায় যথেষ্ট ফোর্স না থাকায় অভিযান না চালিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন। ওসি সেখানে উপস্থিত থাকলেও একজন পুলিশ সদস্যও সেখানে আসেননি। তবে চারঘাট থানার ওসি মিজানুর রহমানের দাবি, তিনি প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন। থানার পাশে মাটি কাটা চলছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই।’
এসি ল্যান্ড আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা মাটি কাটা বন্ধ করতে কয়েক দফা চেষ্টা করেছি। এখন মনে হচ্ছে, সেখানে গেলে আমাদেরই নিরাপত্তার সংকট দেখা দেবে। সেখানে সার্বক্ষণিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকে। এটা বন্ধ করতে হলে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে সমন্বিত অভিযান দরকার।’
ইউএনও বলেন, ‘আমরা অবৈধ মাটি খনন দেখেছি। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে। বেশ কয়েকবার অভিযানও চালিয়েছি, কিন্তু বন্ধ হয়নি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিয়েছি। দেখা যাক, কী হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৫ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার।
চুমকির স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন রোববার বিকেলে বলেন, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চুমকি আক্তার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টার তাঁর ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ইকরামুল হোসেন আরও জানান, চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি শাশুড়ির (চুমকির মা) কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
আহত চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। শুনেছি ওর ডান হাত আর পায়ে আঘাত লেগেছে। ও এখন ওই দেশের হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং আমাদের কোনো ছেলে নেই।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ওই হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি নিহত এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। রোববার নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
নিহতরা হলেন কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মণ্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার।
চুমকির স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন রোববার বিকেলে বলেন, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চুমকি আক্তার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টার তাঁর ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ইকরামুল হোসেন আরও জানান, চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি শাশুড়ির (চুমকির মা) কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
আহত চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। শুনেছি ওর ডান হাত আর পায়ে আঘাত লেগেছে। ও এখন ওই দেশের হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং আমাদের কোনো ছেলে নেই।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ওই হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি নিহত এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। রোববার নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
নিহতরা হলেন কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মণ্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৫ মিনিট আগে
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’
জানা গেছে, এই অভিযোগ দায়েরের পরপরই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আনিস আলমগীর।
তবে ওই জিমের ম্যানেজার আরেফিন গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ আনিস আলমগীর জিমে আসেন এবং রাত ৮টার দিকে ব্যায়াম শেষে চলে যান। তিনি জিমের ভেতরে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখেননি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’
জানা গেছে, এই অভিযোগ দায়েরের পরপরই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আনিস আলমগীর।
তবে ওই জিমের ম্যানেজার আরেফিন গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ আনিস আলমগীর জিমে আসেন এবং রাত ৮টার দিকে ব্যায়াম শেষে চলে যান। তিনি জিমের ভেতরে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখেননি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৫ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

বালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৫ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগে