কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগরে পদ্মা নদীর পানি শুকিয়ে বিশাল চর জেগে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সেই চর ও নদীর পাড়ে বেড়াতে আসছে হাজারো মানুষ। স্থানীয়ভাবে এলাকাটি আবেদের ঘাট নামে পরিচিত।
ঈদের দিন থেকেই পদ্মার পাড় ও চরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন অনেকে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ মেতে উঠেছে আড্ডা আর উল্লাসে। তরুণদের কেউ কেউ বালুচরে খেলছেন ফুটবল বা ক্রিকেট।
স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল বলেন, ‘প্রতিবছর দুই ঈদে নদীর পাড়ের চিত্র বদলে যায়। ঈদের দিন থেকে টানা এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে।’
দর্শনার্থীদের অনেকে জানায়, শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির মধ্যে আসতে পেরে তারা দারুণ খুশি। অনেকেই চান, নদীর পাড়ে ভালো মানের বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠুক, যাতে আরও বেশি মানুষ এখানে ঘুরতে আসতে পারে।
ঘুরতে আসা মাইমুনা তাবাসসুম বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই। তাই প্রতিবছর আমরা পদ্মার পাড়ে আসি, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি। অনেক মানুষ আজ এখানে এসেছে।’
দর্শনার্থীদের কেন্দ্র করে নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকানপাট। কেউ খাবার আবার কেউ বাচ্চাদের খেলনার দোকান বসিয়েছে। যা উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ঝালমুড়ি ব্যবসায়ী তুফান আলী বলেন, ‘উৎসব উপলক্ষে নদীর পাড়ে মানুষের অনেক ভিড় হয়। এতে আমাদের বেচাকেনাও ভালো হয়।’