ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় গুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। আজ শনিবার সকালে তাঁদের আত্মীয়স্বজন মৃতদেহ দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জেলার হিরণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের বাসিন্দা হানিফ (৫৬)। তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। অপর দুজন হলেন হানিফের শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন (৩৮) ও কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম (২৭)।
থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ত্রিবেণী শ্মশান খাল এলাকায় ওই তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রাত ১২টার দিকে শ্মশান এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করে জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা এসেছে। ঘটনার পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হানিফের ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে হানিফের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এরপর ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও ধরেননি। পরে রাতে তার মৃতদেহ পাই।’
ভাগনে নিহতের খবর পেয়ে শৈলকুপা থানায় আসা রাইসুল ইসলামের মামা মোহাম্মদ মিল্টন বলেন, ‘লেখাপড়া শেষ করে রাইসুল চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কুষ্টিয়ার এক সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তবে ঠিক কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানতে পারিনি।’
মোহাম্মদ মিল্টন আরও বলেন, ‘রাইসুল পিয়ারপুর এলাকার নানাবাড়ি থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে জানতে পেলাম, রাইসুল গুলিতে নিহত হয়েছে।’
শুক্রবার রাতে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমরা তিনটা লাশ পেয়েছি। লাশ দেখে মনে হচ্ছে, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম হানিফ। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। অপরজন হানিফের শ্যালক লিটন। তবে বাকি একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে দুটি কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেল, একটি ম্যাগাজিন ও গুলি পাওয়া গেছে।’