ভোলার বোরহানউদ্দিনে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে কিল-ঘুষি মেরে ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে নসু মুন্সি (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বোরহান উদ্দিন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ছোট ভাই ছালেম মুন্সির (৬০) স্ত্রী জয়তুন বেগম।
মামলার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুল কাচিয়া গ্রামে নসু মুন্সি ও ছালেম মুন্সির মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় এবং একপর্যায়ে সালেম মিয়া মারা যান। তাঁরা ওই গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকালে ছালেম মুন্সির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রাতেই ছালেম মুন্সির স্ত্রী জয়তুন বেগমের মামলার পর নসু মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৈতৃক জমি নিয়ে ছালেম মুন্সি ও নসু মুন্সির মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিরসনে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছালেম মুন্সির বাগানের গাছ বড় ভাই নসু মুন্সির (৬৫) ছাগলে খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বিকেলেই দুজনের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়।
এ সময় তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং একে অপরকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ছালেম মুন্সি এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছালেমের লাশ উদ্ধার করেছে।
ছালেম মুন্সির পরিবারের দাবি, মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিরোধের কারণে প্রায়ই দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হতো। গতকালও তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।