কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে অর্ধগলিত ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ মহেশখালীর চরপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ রোববার খায়েরকে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস কক্সবাজার আদালতে কাউন্সিলর খায়ের হোসেনকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চান। আদালতের বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছয় আসামি কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৩ এপ্রিল সাগরে ডুবন্ত ট্রলারটি গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মাছ ধরার ট্রলারের জেলেদের জালে আটকা পড়ে। পরে ওই ট্রলারটির সাহায্যে জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে পৌঁছালে ট্রলারে লাশ থাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত ট্রলারের মালিক সামশুল আলমের স্ত্রী রোকিয়া আকতার ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত মহেশখালীর মাতারবাড়ীর বাইট্যা কামাল, করিম সিকদার, আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি।