Ajker Patrika

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে দুজনকে অপহরণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম
আটক চারজন। ছবি: সংগৃহীত
আটক চারজন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা ও তাঁর গাড়িচালককে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃতদের উদ্ধারের পাশাপাশি মুক্তিপণের জন্য নগদ পাঁচ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আকবরশাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উত্তর কাট্টলীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে নাজমুল আবেদিন, সিটি গেট এলাকার মাইনুল আমিন পারভেজের ছেলে নইমুল আমিন ইমন (২২), সিডিএ ১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।

অপহরণের শিকার ব্যক্তি হলেন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তৈরি পোশাক কারখানা প্যাসিফিক জিনসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবেদীন আল মামুন ও তাঁর গাড়িচালক জুয়েল।

শুক্রবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে আবেদিন আল মামুন নামে একজনকে অপহরণ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে তাঁর নোহা গাড়িযোগে পতেঙ্গা সাগরপাড় এলাকা, পাহাড়তলীর কর্নেলহাট জোন্স রোড ও আকবরশাহ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরায়।

এ সময় অপহরণ হওয়া আবেদিন আল মামুনের সঙ্গে জিম্মি অবস্থায় ছিল তাঁর গাড়িচালক জুয়েলও।

গাড়িতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ঘুরতে ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ও ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক লিখে নেয় অপহরণকারীরা।

পরে টাকা পেয়ে ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যান তারা। পরে খবর পেয়ে পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযান চালিয়ে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে গাড়িসহ আবেদিন আল মামুন ও তার ড্রাইভার জুয়েলকে উদ্ধার করে।

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে পৃথক পৃথক এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত