কুমিল্লায় ঘুষ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতে মো. মেহেদী হাসান নামের এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৯ মের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা চাঁদা ও ঘুষ দাবি করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার এক নম্বর আসামি মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৪ মার্চ বাদী মেহেদীর ভাই অটোরিকশার চালক মো. আবুল কালামকে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ নগরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাদী তাঁর ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে ওসি জাহিদুর এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর আগে অন্য আসামিরা কালামের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বাদী মেহেদী বলেন, ‘বিনা কারণে আমার ভাইকে পুলিশ ধরে এনে চাঁদা দাবি করে। আমি আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
এদিকে ২৪ মার্চ রাতে কালামকে পুলিশ মুরাদনগর থানায় ধরে নিয়ে এলে তাঁকে ছাড়ানো জন্য সেখানে যান স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে সেখানে হট্টগোল তৈরি হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এবং এক ছাত্র সমন্বয়ক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর প্রতিবাদে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় গতকাল বুধবার অর্ধদিবস পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুরের ফোন নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।