নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য করিম উদ্দিন শাকিলকে (২৫) গুলি করে আহত করা হয়েছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীরা তাঁকে গুলি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড করালিয়া আলতাফ উদ্দিন মেস্তরী বাড়ীর দরজায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শাকিল বসুরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের মো. সেলিমের ছেলে। তাঁকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা করিম উদ্দিন শাকিল পৌরমেয়র কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শাকিল বাড়ির পাশে করালিয়া এলাকায় একটি জানাজায় অংশ নিতে যান। এ সময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল, পিচ্চি মাসুদ, মানিক, দিলিপ দাস, জিসান, ফাহাদ তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর দুই পায়ে গুলি করে এবং রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, পিচ্চি মাসুদ, মানিক, দিলিপ দাস, জিসান, ফাহাদসহ ১০–১৫ জন অস্ত্রধারী হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের ওপর নয় রাউন্ড গুলি করে এবং রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্চি মাসুদ এর আগেও করালিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ও রাহিমের ওপর প্রকাশ্যে গুলি করেছিল। সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হলেও প্রশাসন তাঁদের আটক করেনি।
এ বিষয়ে জানার জন্য মেয়র কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে বারবার ফোন দিলেও তিনি জবাব দেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শাকিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।