হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দরের কাজে ধীর গতি

চাঁদপুর প্রতিনিধি

নির্মাণকাজ চলছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দরের। সম্প্রতি চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৬ মাস আগে নির্মাণকাজ শুরু হলেও তাতে গতি নেই। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও দ্রুত তা সম্পন্ন করা হবে।

চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায় দেখা যায়, মেঘনা নদীর পাড়ে চলছে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণকাজের তোড়জোড়। যেখানে দেড় হাজার বর্গমিটার এলাকায় চারতলার তিনটি ভবন নির্মাণসহ স্থাপন করার কথা রয়েছে পন্টুন, গ্যাংওয়ে, পার্কিং ইয়ার্ড, এক্সটার্নাল ব্রিজ। একই সঙ্গে চলছে বন্দরে যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ। ভবন নির্মাণের জন্য করতে হবে ৩১০টি পাইলিং। ১৫০টি পাইলিংয়ের আংশিক ও ৮৬টি পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলেও এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৬ মাস। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ ২৪ মাস। ২০২৩ সালের আগস্টে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের মে মাসে। অথচ এখনো বাকি ৮০ ভাগের বেশি কাজ।

ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর আধুনিকায়নে ২০১৬ সালে একনেক সভায় অনুমোদন পায়। এর পর থেকে উন্নত সেবার আশায় বুক বাঁধে এই বন্দর ব্যবহারকারী চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, শরীয়তপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজারো যাত্রী।

বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২ দশমিক ২ একর জমিতে আধুনিক নৌবন্দর প্রকল্পের ব্যয় প্রথম পর্যায়ে ৬৭ কোটি টাকা ধরা হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ কোটিতে। নির্মাণকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন।

লঞ্চযাত্রী মামুন বলেন, ‘আধুনিক নৌ-টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। এখনো দৃশ্যমান কোনো কিছুই করেনি। কবে এই কাজ শেষ হবে, তার কোনো হিসাব নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনায় এমন ধীরগতিতে চলছে নির্মাণকাজ। এতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

বিআইডব্লিউটিএর জেলা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. বছির আলী খান বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ছোটবড় অর্ধশতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করলেও বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে তা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক গুণ। বন্দরের কাজ শেষ না হওয়ায় যাত্রীদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় সময়ই তাঁরা আমাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেন। কিন্তু কাজের যে গতি, তাতে কবে নির্মাণ শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। আমরা চাই, কাজ দ্রুত শেষ হোক, যেন যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারি।’

প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা।

বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমাদের এই কাজের জন্য মেয়াদ ছিল ২৪ মাস। প্রায় ১৬ মাস পার হলেও কাজ শেষ হয়েছে ১৬ শতাংশের মতো। পাইলিংকাজ করতে গিয়ে দেখা যায় মাটির নিচে ১০ মিটার পর্যন্ত বোল্ডার রয়েছে। এসব কারণে পাইলিংকাজ শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হয়। আগামী আগস্টের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।’

বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

চকরিয়া থানা সেন্টার মসজিদের টয়লেট থেকে মুসল্লির লাশ উদ্ধার

বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় নারী গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৫, বিক্ষোভ মিছিল

রামগড় ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন

কুমিল্লা মহানগর আ.লীগ নেতা কবিরুল শিকদার গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর

সেকশন