অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সীমান্তে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারে খাদ্যসংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার ও জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। ফলে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে; যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান হতে না পারে।
দেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভবিষ্যতে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যাবে। চালের দামও সহনশীল থাকবে। দেশে এই মুহূর্তে ১৩ লাখ টন চাল ও গম মজুত রয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন রমজান ঘিরে যাতে দাম সহনশীল পর্যায়ে থাকে, সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। রমজানে দেশের ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ টন চাল দেওয়া হবে উপহার হিসেবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।