দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকেরা বান্দরবানের মেঘলা নীলাচল, শৈলপ্রপাত চিম্বুক, নীলগিরি প্রান্তিক লেকসহ লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণে যেতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলা এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সেসব উপজেলা স্পটগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না পর্যটকেরা। তবে পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর থেকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে প্রশাসন। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র। বাতিল হয়ে যায় হোটেল মোটেলের বুকিং। ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে থাকার কারণে তারা দ্রুত পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপতৎপরতার কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় দফায় দফায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। সবশেষ রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ৪ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের উন্মুক্ত ছিল। গত ৮ অক্টোবর থেকে নিরাপত্তার কারণে জেলার সব উপজেলায়ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।