ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছেন। রাতেও তারা সৈকতে নেমেছেন। দিনের বেলায়ও উত্তাল সমুদ্রে সৈকতে পর্যটকেরা নামার চেষ্টা করেছেন। সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের কর্মীরা হিমশিম খেয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগম ছিল। সবাইকে সৈকতের তীর থেকে নিরাপদে থাকতে মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে ৯টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৪টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ৩২৩ মেট্রিক টন চাল, ৮ লাখ ২৫ হাজার নগদ টাকা ও ১ হাজার ১৯৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫০ কার্টন ড্রাই কেক, ৪০০ কার্টন বিস্কুট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জন পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও সিপিপি সদস্য।