গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে বিকল হয় ইঞ্জিন। এরপর ৫ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকে এমভি হাওলাদার নামে ফিশিং ট্রলারটি। একপর্যায়ে জোয়ারে ভাসতে ভাসতে আসে মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে। পরে সংবাদ পেয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৩ জেলেসহ ট্রলারটি উদ্ধার করে নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচরের কোস্টগার্ড।
রোববার গভীর রাতে হাতিয়ার পূর্বপাশে গাংঘুরিয়ার চরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয় ট্রলারটি। রাতে উদ্ধার হওয়া ফিশিং ট্রলারটি টেনে ভাসানচর নিয়ে আসে কোস্টগার্ডের একটি টিম। উদ্ধার হওয়া এমভি হাওলাদার নামের ওই ফিশিং ট্রলারটি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার।
হাতিয়া কোস্টগার্ড জানায়, মোবাইলে সংবাদ আসে একটি ফিশিং ট্রলার ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায় এটি হাতিয়ার পূর্বপাশে গাংঘুরিয়ার চরের নিকটে সাগরের মধ্যে রয়েছে। সাথে সাথে উদ্ধারের জন্য বলা হয় ভাসানচর কোস্টগার্ডকে। তাঁরা চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গভীর সাগর থেকে ট্রলারটি উদ্ধার করে ভাসানচর নিয়ে যায়।
এমাজল মাঝি জানায়, ট্রলারে তিনিসহ ১৩ জন জেলে ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। ট্রলারটির মালিক পাথরঘাটা উপজেলার মো. সোহাগ হাওলাদার। ভাসানচরে অবস্থান করে ইঞ্জিন মেরামত করে বাড়ি ফেরার চিন্তা ভাবন আছে তাদের। ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝি মাল্লার সবাই সুস্থ আছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাসানচর কোস্টগার্ড ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। জেলেদের অনেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভাসানচর কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।