চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণের ঘটনার দুদিন পর নিখোঁজ এক জেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার নগরের পতেঙ্গা মডেল থানাধীন নেভাল সংলগ্ন ওয়াটার বাস টার্মিনালের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল জলিল (৪০) মহেশখালী পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি এলাকাটির আনছারুল করিমের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের শ্রমিক ছিলেন।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে ওই জায়গায় লাশটি ভাসতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা থানায় সংবাদ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের বড় ভাই আব্দুল আজিম তাঁর ভাইয়ের লাশটি শনাক্ত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ দুপুরে পতেঙ্গা থানাধীন ১৫ নম্বর ঘাটের বে-ওয়ান ক্রুজ শিপের পাশে নোঙর করা একটি ট্রলারে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার পর আব্দুল জলিল নিখোঁজ ছিলেন।
ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন—জামাল উদ্দিন (৫৫), মাহমুদুল করিম (৪৫), মফিজুর রহমান (৪৫), এমরান (২৮)। এর মধ্যে প্রথম তিনজনের শরীরের ৮০–৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।