চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৪ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ ১০২ নেতা-কর্মী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন। আজ শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ তাঁদের জামিনের আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই দিন রাতেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ দুইটি, ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি করে মোট ৪টি মামলা হয়। এই চার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্করসহ ১০২ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
মো. ইদ্রিস আলী আরও বলেন, ‘মামলার পরপরই পুলিশ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে উঠে। শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য বাসায় বাসায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকেন। আজ সবাই হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ. জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামান, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট ওসমান চৌধুরী, এ. কে. এম খলিলুল্লাহ কাসেম, গোলাম মুক্তাদী উজ্জ্বল প্রমুখ।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারির সংঘর্ষের পর কোতোয়ালি থানাধীন সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজাদ হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এই দুই মামলায় ৯৬ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
নগর ট্রাফিক পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট চয়ন নাইডু ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আল আমিন ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।