পারকি সমুদ্রসৈকতে সরকারি খাসজমি থেকে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্ণফুলী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
জানা গেছে, গতকাল সৈকতের উত্তর পাশে সরকারি খাসজমি থেকে মাটি কাটার সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি তা বন্ধ করে দেন। আটকে রাখেন মাটি কাটার যন্ত্র। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ মোতায়েন করে।
মাটি কাটার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ এইচ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারা হোসেন জানান, জমির মালিক আখতারুজ্জামান মিজান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাটি কেনেন তিনি। মাটি কেটে আনার সময় স্থানীয় একটি গ্রুপ চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় কাজে বাধা দেয়।
তবে স্থানীয় পারকি এলাকার বাসিন্দা নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘সৈকতের বেড়িবাঁধসংলগ্ন সরকারি খাসজমির মাটি কাটায় আমরা বাধা দিয়েছি। চাঁদা দাবির প্রশ্নই আসে না। মাটি কাটার কারণে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আখতারুজ্জামান মিজান সরকারি খাসজমিতে মৎস্য ঘের তৈরি করেছে। এখানে তার কোনো মালিকানা জমি নেই।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, সৈকতে মাটি কাটা নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।