সম্মানীর নামে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) টাওয়ার থেকে ১০ কোটির বেশি টাকা লোপাটের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা। দুদক, চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নদভীকে এ–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ বিষয়ে দুদক, চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, আইআইইউসির আগ্রাবাদস্থ টাওয়ার থেকে সম্মানীর নামে বড় অঙ্কের টাকা লোপাটের অভিযোগে সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে চট্টগ্রাম কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আদালতের আদেশ নিয়ে নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান দুদকের এ কর্মকর্তা।
তথ্যমতে, প্রতি মাসে মাসিক সম্মানীর নামে আইআইইউসি টাওয়ার থেকে ১০ লাখ ৯ হাজার টাকা নিতেন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। ১৫ তলা এই টাওয়ার আইআইইউসির ট্রাস্টভুক্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা চৌধুরী ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা মাসিক সম্মানী নিতেন। নদভী দম্পতির নেতৃত্বে সম্মানীর নামে টাওয়ার ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৬ জন মাসে ২৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা নেন। এই হিসাবে তিন বছরে সম্মানীর নামে তাঁরা নিয়েছেন ১০ কোটি ১ লাখ টাকা।
অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের অর্থ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করার সুযোগ নেই। কিন্তু মাসিক সম্মানী, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা, জ্বালানি, মোবাইল ফোনের টাকা, এমনকি গাড়ি কেনার নামে ঋণ দেখিয়ে অর্থ নয়ছয়ের উৎসব চলে আইআইইউসি টাওয়ারে।
আইআইইউসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৫ সাল থেকে টাওয়ারের ১৫টি ফ্লোর ভাড়া দিয়ে মাসে সোয়া কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে। এ আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ টাওয়ার ব্যবস্থাপনা কমিটির নামে ব্যয় দেখানো হয়েছিল।