খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার শ্মশানটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শ্যালক সাগর ত্রিপুরা ও তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত দীপক ঘোষ মুন্না শ্মশানটিলা এলাকার রাখাল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় সাগর ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মুন্নাকে মারার জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। পরে তিনি বাড়ির কাছাকাছি এলে তাঁর ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান সাগর ও তাঁর বন্ধুরা। এতে গুরুতর আহত হন মুন্না। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আজ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মুন্নার বাবা রাখাল ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মুন্নার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছিল। দুজনই আলাদা থাকতেন। পুত্রবধূ কনিকা গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন। কয়েকবার চেষ্টা করেও কনিকাকে বাড়িতে আনা যায়নি। এ নিয়ে সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে দুজনের ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় শ্যালক সাগর ত্রিপুরার সঙ্গে মুন্নার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ কারণে সাগর ক্ষুব্ধ হয়ে মুন্নাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক সাগর ও তাঁর বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।