Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

পশ্চিম বাকলিয়ার বড় দুঃখ চাক্তাই খাল

আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম 

পশ্চিম বাকলিয়ার বড় দুঃখ চাক্তাই খাল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম বাকলিয়া। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিদ্যুতের ভেলকিবাজি, বিশুদ্ধ পানির অভাব, গ্যাসের সংকটে নাকাল। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থাও নাজুক।  ওয়ার্ডের প্রতিটি সড়কেরই উন্নয়ন জরুরি।  

পশ্চিম বাকলিয়া, ডিসি রোড, খাজা হোটেল, খাজা হোটেল ওয়াপদা কলোনি, শমসেরপাড়া নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয় বর্ষায়, বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এলাকাবাসীর ধারণা, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই সমস্যা মিটে যাবে।

ওয়ার্ডের আহমদুর রহমান সড়ক, মদিনা মসজিদ লেন, শান্তিনগর, বগার বিল একাংশ, আবদুল লতিফ রোডের সংস্কার করতে হবে।

এলাকায় মাদক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আছে। কোথাও কোথাও জুয়ার আসর বসার অভিযোগও আছে। এলাকাবাসীর বড় দুঃখ চাক্তাই খাল। খালের দুই পাশ ওয়াল দ্বারা বেষ্টিত তাই দখল-বেদখল নেই। তবে ছয় বছর ধরে খাল খনন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই পানি লোকালয়ে আসে।  

বাকলিয়া সরকারি কলেজ, কামালে ইশকে মুস্তফা (দ.) আলিম মাদ্রাসা, কর্ণফুলী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিলুয়ারা জাহান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়, হাসনাহেনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।

২ দশমিক ৫৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ওয়ার্ডটিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বাস। ভোটার ৫১ হাজার। এলাকায় শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ।  

ডিসি রোডের শাহাব উদ্দিন বলেন, `সড়ক দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। বর্ষায় হাঁটুপানি হয়ে যায়। মশার উপদ্রব বেশি। ডিসি রোডেই সকাল-সন্ধ্যা যানজট থাকে। পানিদূষণ ও শব্দদূষণে অতিষ্ঠ আমরা।'  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় মাদকের সমস্যা আছে এটা ঠিক। তবে আমি যোগদানের পর বেশ কিছু মামলা দিয়েছি। পুলিশ সদস্যদের আরও সজাগ রেখেছি। আমার থানার ওপর দিয়ে কক্সবাজার রোড। ফলে এ রোডকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে মাদক কারবারিরা। স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে আমরা আরও সচেতনতামূলক কাজ করব। কারণ এলাকাবাসী সচেতন না হলে মাদক নির্মূল সম্ভব না। এই ওয়ার্ডে বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে না। চাঁদাবাজ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এই ওয়ার্ডে নেই। সার্বিকভাবে বলতে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মাদক সেবনের স্পট নেই। তবে কিছু ভাসমান ইয়াবা বিক্রেতা আছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা খুবই সজাগ আছি। খবর পেলেই গ্রেপ্তার করা হয়।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবহেলিত ওয়ার্ড এটি। মানুষের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। গত দুই মেয়াদ কাউন্সিলর ছিলাম না। এর আগে প্রায় ১৭ বছর ছিলাম। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এলাকার উন্নয়ন করতে পারিনি তখন। কারণ বাজেট বরাদ্দ তখন কিছুই ছিল না। তবে, এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেই উন্নয়ন করা হচ্ছে। সরকারও টেকসই উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়েছে। ফলে বরাদ্দ বেশি দিচ্ছে।  

মাদক, সন্ত্রাসসহ বেশ কিছু সমস্যা আছে। তবে, এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রিত।’

কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকেই মাদক হাত বদল হয়। ওখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে শহরে। আমরা ওয়ার্ডসহ প্রত্যেক ওয়ার্ডেই মাদক বড় সমস্যা। যোগাযোগব্যবস্থা ও ড্রেনের উন্নয়নের জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিয়েছি চসিকে। এলাকার উন্নয়নের জন্য ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন।'

চট্টগ্রামে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬০ টাকা নির্ধারণ

বান্দরবানে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করল বিজিবি

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

কসবায় স্ত্রী-শ্যালিকাকে হত্যা: চট্টগ্রাম থেকে স্বামী গ্রেপ্তার

টেকনাফে অপহরণকারীর আস্তানায় মিলল ১১ নারী ও শিশু

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দুই জাহাজের সংঘর্ষ

মাতামুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ কিশোরের হাত-পা বাঁধা লাশ

চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন

রাঙামাটিতে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী