ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট। ঝিনুকের আদলে গড়া কক্সবাজারের চৌধুরীপাড়া স্টেশনে পৌঁছাল কক্সবাজার রুটের নতুন ট্রেন। এতে ছিল অত্যাধুনিক ১৯ বগি। ৩ হাজার সিরিজের নতুন ইঞ্জিনও। যিনি চালিয়ে আনলেন, তাঁর ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা প্রায় ১০ বছরের। চালিয়েছেন সোনার বাংলা, তূর্ণা, মহানগর ও সুবর্ণ এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন।
তবে কক্সবাজার রুটে মঙ্গলবার ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন বলে জানান লোকো পাইলট মাহফুজুর রহমান।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে এই বিশাল বগির বহর নিয়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে এই স্পেশাল ট্রেনটি। ট্রেনটিতে উঠে আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। তাই ট্রেনটিতে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা।
টাইম-টেবিল এখনো নির্ধারিত না হওয়ায় ট্রেনচালক সর্বোচ্চ গতি তুলেছেন মাত্র ৫৫ কিলোমিটার। তবে তাঁর মতে, এই রুটে গতি ঘণ্টায় ৮০–৯০ কিলোমিটারও তোলা যাবে সহজে। কিন্তু টাইম-টেবিল নির্ধারিত না হওয়ায় ট্রেন ধীরে চালিয়েছেন চালক মাহফুজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন চালক। তাঁরা হলেন—সাজু কুমার দাস, রুকন মিয়া ও বেলায়েত হোসেন।
রুকন মিয়া বলেন, ‘এই রুটে ট্রেন আসাটা একসময় কল্পনাতীত ছিল। সেই কাজটি করে দেখিয়েছে সরকার।’