কক্সবাজার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন থেকে ৭৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন থেকে দুই ধাপে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
জানা যায়, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে একটি টিম প্রথমে ৬৯ জন এবং পরে সাতজনকে আটক করে। কেন বা কি কারণে এত রোহিঙ্গা একসঙ্গে একই ইউনিয়নে অবস্থান করছিলেন তা সঠিক জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আবছার জানান, বর্তমানে কাজের লোক হিসেবে রোহিঙ্গাদের রাখেন স্থানীয়রা। কৃষিকাজসহ নানা দিনমজুরের কাজ কম মজুরিতে করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রশ্রয় দেন তাঁরা।
এর আগেও রামুর বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে জেল-জরিমানা করা হয়। জানা যায়, এবার ৭৬ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর মোট ১২ হাজার ২৮০ টাকা জরিমানা করেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। একই সঙ্গে রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেনের সার্বিক দায়িত্বে তাঁদের ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মোট ৭৬ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উখিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রায়ই রামুতে রোহিঙ্গা আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয় অনেক সচেতন বাসিন্দা। রামুর স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিবার রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে আসতে পারার কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনা। পাশাপাশি স্থানীয় অনেক বাসিন্দা এখানে জড়িত। বর্তমানে এই দেশে নাগরিক হয়ে গেছে এমন অনেক রোহিঙ্গারা এটির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।