নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাঁটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. ইয়াছিন আরাফাতকে (১৪) করোনার ভ্যাকসিন তিনবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হাঁটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ইয়াছিনের দাদা আবুল কালাম ভান্ডারী জানান, বিদ্যালয় থেকে টিকা দেওয়ার নোটিশে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় ইয়াছিন। টিকা কর্মীরা প্রথমে তাদের সঙ্গে থাকা টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ডটির একটি অংশ জমা নিয়ে ইয়াছিনকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ইয়াছিন ওই কক্ষে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাঁড়ানো ছিল। এর কিছুক্ষণ পর কোন প্রকার কাগজ ছাড়া তাকে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার টিকা প্রদান করা হয়। এতে তার শরীরে ব্যথা শুরু হয়ে জ্বর আসে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মুখ ফুলে গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচির আওতায় ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের সময় ওই শিক্ষার্থীকে তিন বার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিকা কর্মীরা দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি নিয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তিথী আবেদকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।