কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীরকাঁটার নদীর পশ্চিমকুল এলাকায় রশিদা খাতুন (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার হাত-মুখ বেঁধে ঘর ভেঙে জায়গা দখলের ঘটনায় রামু থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী রশিদা খাতুনের মেয়ে নুর বাহার বেগম (৫০) এই মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধাকে নির্যাতনের বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর এটি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর রামু থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, চুরিসহ কয়েকটি ধারায় আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল বৃদ্ধা রশিদা খাতুনসহ (৮৫) তাঁর দুই মেয়েকে দুই ভাই মো. ইউনুচ ও আবুল মনছুর প্রকাশ লেবুসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা বিকেল থেকে সারা রাত চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে খেতের জমিতে ফেলে রাখেন। তাঁরা ঘর ভেঙে ফেলে জমি দখলে নেন। পরদিন সকালে স্থানীয়রা হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে।
রশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার সংসারে কোনো পুরুষ সদস্য নেই বলে আজ আমাকে এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে আমাদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রাখায় এখনো সারা শরীরে ব্যথা। আমার ছোট একটি কুঁড়েঘর ভেঙে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম। মাদ্রাসাপড়ুয়া আমার দুই নাতনির জন্য চিন্তা হচ্ছে। তারা খোলা আকাশের নিচে এখনো। আমি ঘর ফেরত চাই।’