রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রুহুল আমিন (৭৫) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় মারা যান তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদ্রোগ, প্যারালাইজডসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
মরহুমের বড় ছেলে মো. জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার সকালে বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত ঢাকায় নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ বাদ আছর রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ আদায়ের পর আঙ্গারপাড়া নোয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হবে। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হানিফ পাটোয়ারি বলেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা (১৯৭৯-৮০ ইং) ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম রুহুল আমিন গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন সৈনিক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিএনপিকে বুকে আগলে রেখেছেন।
রুহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মামুন আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপিসহ বিএনপি ও বিভিন্ন দলের নেতা–কর্মীরা।