চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউনিয়ন সদস্য নূরুল আপছারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পোলঘাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নূরুল হাসান এবং নিজামের অনুসারীরা এক হয়ে এই হামলা করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীর ভাগনে নজরুল ইসলাম জাবেদ ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার নির্বাচন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নূরুল হাসানের কেন্দ্রের এজেন্ট ফাহিমের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয় হামলা শিকার ইউনিয়ন সদস্যের। ফাহিম এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজামের ভাই হামলায় সশরীরে অংশগ্রহণ করছেন বলে জানান স্থানীরা।
এ দিকে হামলার শিকার ইউপি সদস্য অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাঁকে সন্দ্বীপ থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আহতের ভাগনে নজরুল ইসলাম জাবেদ। নজরুল ইসলাম জাবেদ জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নূরুল হাসান এবং নিজামের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল হাসান এবং নিজামের মুঠোফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে আজ বিকেল ৪টার দিকে মগধরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্যালিশ্যা বাজার এলাকায় ফরিদ নামের এক রিকশা চালক হামলার শিকার হয়েছেন। হামলার শিকার ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আশরাফ, সোহাগসহ আরও ৩-৪ জন আমাকে মাইর ধর করে এবং আমাকে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলে। আমি কেন মহিলা মেম্বার প্রার্থী ঝরনা বেগমের নির্বাচনী ভাড়া মারছি এবং তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করছি এই জন্য তারা আমাকে মারছে।’
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ওসি (তদন্ত) জনাব নুর আহমেদ বলেন ‘আমাদের ১৫টি মোবাইল টিম এবং স্টাকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে রেসপন্স করা হচ্ছে। ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত আছি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’