খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গণপিটুনিতে ইউপিডিএফের কর্মী নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ চলছে। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ইউপিডিএফের (মূল) ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তাই জেলার পাঁচ উপজেলা ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে বন্ধ ছিল গাড়ি চলাচল। পুলিশের প্রহরায় গাড়ি চললেও মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সড়কে বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনছারুল করিম বলেন, ‘ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কেও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আজ সকাল ৬টার দিকে মানিকছড়ি কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলসংলগ্ন মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা করেন ইউপিডিএফের (মূল) কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর আগুন নিভিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়।
এ সময় পিসিপি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা-কর্মীরা গাড়িগুলো জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে অটো ও মোটরসাইকেলচালকেরা অনুরোধ করে রক্ষা পান।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গত রোববার হ্লাচিং মং মারমা (উষা) নামের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী গণপিটুনিতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনার পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৫ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ডাক দেয় দলটি।