নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে ওই শিক্ষককে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষকের নাম মাওলা নুরুল আলম (২৫)। তিনি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বাড়ি উপজেলার চরজুবিলী গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর ধরে ছেলেটি মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করছিল। গত ১৮ অক্টোবর রাতে আবাসিকে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়লে শিক্ষক নুরুল আলম ছেলেটির মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেন। ছেলেটি কান্না করলে শিক্ষক তার মুখ চেপে ধরেন ও ভয়ভীতি দেখান। পরে ছেলেটি ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে আর মাদ্রাসায় আসতে না চাইলে জিজ্ঞেস করলে তার মাকে বিষয়টি জানায়। ছেলের মা বাবা মাদ্রাসা কমিটিকে অবগত করলে তাঁরা বৈঠকে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সত্যতা পেয়ে শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত সোমবার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ছাত্রের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।