সহপাঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল দশম শ্রেণি পড়ুয়া সাইমুন হোসেনের (১৬)। সেই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতেও রাজি ছিলেন তার বাবা, তবে শর্ত ছিল যৌতুক হিসেবে দিতে হবে দামি মোটরসাইকেল। বাবার যৌতুক চাওয়ার কথা জানার পর গতকাল শনিবার রাতে নিজ শোবারঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সাইমুন।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাইমুন হোসেনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ওয়াড়িয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিছুদিন আগে বিষয়টি উভয় পরিবারে জানাজানি হয়। এরপর বিয়ের প্রস্তাবেও রাজি ছিল উভয় পক্ষ। তবে বিপত্তি ঘটে ছেলের বাবার দামি মোটরসাইকেল দাবি ও মেয়ের বাবার অসম্মতি।
একপর্যায়ে ঘটনা জানতে পারে সাইমুন হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে বাড়ির সবার অজান্তে নিজ শোবারঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেয়। পরে আজ রোববার সকালে তার এক বন্ধু এসে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এ সময় সাইমুনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইমুনের বাবা মন্টু মিয়া লিখিত আকারে বিষয়টি থানাকে অবহিত করেছেন। মন্টু শেখ লিখিতভাবে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে সাইমুন শেখ গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে আমি ও থানার এসআই অমিয় কুমার ঘটনাস্থলে যাই। এরপর লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’