Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বাঁকখালী নদীর বালু নদীতে

শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার) 

বাঁকখালী নদীর বালু নদীতে

কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদীতে চলছে সরকারি ড্রেজিং প্রকল্প। এর আওতায় তোলা বালু রাখা হচ্ছে নদীর পাড়েই। এতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে আবারও এই বালু নদীতে গিয়ে পড়ছে।

রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঁকখালী নদীতে ১৯৫ কোটি ৫৪৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলছে এই ড্রেজিং। কিন্তু নদীর বালু নদীতেই ফিরে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি।

কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতার নিরসন করা, বাঁকখালী নদীর নাব্য বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ-চলাচলের পথ সুগম করা এবং দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সাগরের জেলেদের নৌকা-ট্রলারের নিরাপদ অবস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোতাশ্রয় হিসেবে বাঁকখালী নদীকে ব্যবহার উপযোগী করাই ড্রেজিংয়ের উদ্দেশ্য। তা ছাড়া পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কারণে নদীভাঙনের হাত থেকে ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি রক্ষা করাও সম্ভব হবে। কক্সবাজার সদর উপজেলায় অবস্থিত বাঁকখালী নদীতে ড্রেজিং কাজ শেষ করে শেষ দিকের কাজ চলমান ছিল রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন অংশে।

বর্ষা শুরুর আগে নদী থেকে ড্রেজিংয়ের বালু তুলে রাখা হয়েছিল নদীর পাড়ে। এর মধ্যে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে অধিকাংশ বালু আবারও নদীতে চলে গেছে। ২৪ জুলাই রামুর বাঁকখালী নদীর আতিক্কা বিবিরঘাটের দক্ষিণ পাশে গিয়ে এমন অবস্থা দেখা গেছে।

বাঁকখালী নদীতীরের বাসিন্দা রামু কলেজের প্রভাষক মুজিবুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেখছি নদীর বুকেই উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া নদীর পশ্চিম পাশে যে বালুগুলো তুলে নদীর ওপর রাখা হয়েছে, তা ওখান থেকে সরানোর কোনো সড়কও নেই। ইতিমধ্যে ড্রেজিংয়ের অনেক বালু নদীতেই মিশে গেছে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, যে বালুগুলো নদীতে মিশে গেছে, সেগুলো বৃষ্টি কমলে আবারও ড্রেজিং করে তুলে নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ‘২৮ কিলোমিটারজুড়ে ৫১টি পয়েন্টে বালু রাখা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বালু নিলামে দিয়েছি। যেসব পয়েন্টে গাড়ি ঢোকার সড়ক নেই হয়তো সেই স্থানের বালু এ নিলাম থেকে বাদ পড়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় চলছে এই ড্রেজিং কার্যক্রম। বাঁকখালী নদীর ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হলে রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। বন্যা থেকে রক্ষা পাবে রামু সদরের আনুমানিক তিন লাখ মানুষ।

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীর সংশ্লিষ্টতা: কুবির ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

‘পাহাড়খেকো’ জসিম তিন মামলায় গ্রেপ্তার

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পণ্যসহ আটক ২

প্লাস্টিক-পলিথিনের বিনিময়ে আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য

বাঁশখালীতে কাদায় আটকে গেল দলছুট হাতি, ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার

সেন্ট মার্টিনে জন্ম নেওয়া ৬৬৯টি কচ্ছপছানা সাগরে ফিরল

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে দুজনকে অপহরণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

কোম্পানীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পদ হারালেন বিএনপির ৩ নেতা

অভয়াশ্রমে জাটকা শিকার, আটক ১১ জেলে