চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম শফিকুর রহমান মেঘ। তিনি ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চবির কলা ঝুপড়ির পেছনে তাঁকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারধর করেন।
জানা যায়, মেঘ ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে এলে তাঁর গতি রোধ করে কলা ঝুপড়ির পেছনে নিয়ে যান ছাত্রদলের কর্মীরা। পরে সেখানে তাঁকে ছাত্রদলের কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। শাখা ছাত্রদলের কর্মী প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ানসহ ছাত্রদলের অন্য কর্মীরা সেখানে ছিলেন।
চবি শাখা ছাত্রদলের কর্মী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ান নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে বলেন, ‘২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল ফোন চেক করে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়ে আব্দুর রব হলের গেস্টরুমে নিয়ে মারধর করে। আমাকে মেরে একপর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই ছেলে রেদোয়ানকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছিল। আজকে রেদোয়ান ওই ছেলেকে দেখতে পেয়ে আমাকে ফোন করে। আমি ক্যাম্পাসে না থাকার কারণে আমাদের সেক্রেটারি নোমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বলি। শুধু আমার কর্মীরা না, ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের সব নেতার অনুসারীরাই ছিল।’
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নাই। আমি শুনেছি, প্রক্টরিয়াল বডি ওই ছেলেকে সেইফ এক্সিট দিয়ে বের করে দিয়েছে। এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।’
তবে মারধরের ঘটনায় ছাত্রদলের জড়িত থাকার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ‘আমরা জানার পর ওখানে কী হয়েছিল তা দেখতে গিয়েছিলাম। যে মেরেছে, সে কার রাজনীতি করে তা আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন।’
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে একজন শিক্ষার্থী অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সে মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেছে। পরে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।’