চট্টগ্রাম নগরীতে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের লিফটের গর্ত থেকে সামিয়া আক্তার বর্ষা (৫) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত শিশুর মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নগরীর কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার হোল্ডিং নম্বর-২৭৫/এ নির্মাণাধীন ওই ভবনের মালিক মো. জাহেদ ও ভবনের ঠিকাদার মো. সাদ্দাম হোসেনকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের বাসার পাশে আনুমানিক ২০ গজ দূরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মরদেহে অস্বাভাবিক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, খেলতে খেলতে সে ওই গর্তে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। পরে সেখানে জমে থাকা পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটি সেখানে একাই খেলছিল। এ ঘটনায় শুক্রবার শিশুটির মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে ভবনের মালিক ও কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
নিহত শিশুর মা গৃহকর্মী শেফালী বেগম মামলার অভিযোগে বলেন, গতকাল বেলা ৩টার দিকে বাথরুম থেকে বেরিয়ে বর্ষাকে ঘরের ভেতর দেখতে না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজনসহ তিনি নিজে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে রাত ১০টার দিকে খবর আসে, নির্মাণাধীন ওই ভবনের লিফটের জন্য করা গর্তে তাঁর মেয়ে বর্ষা পানিতে ভেসে আছে। স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বর্ষাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি অবহেলা ও অরক্ষিত অবস্থায় নির্মাণকাজ চালিয়ে আসছে। বর্ষার স্কুলে যাওয়া-আসা পথের সামনে নির্মাণাধীন ভবনটি অবস্থিত। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ভবনমালিককে সতর্ক করা হলেও কোনো পাত্তা দেননি তিনি।