চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউট মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক বালককে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেলকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মনোয়ার আলীকে সদস্যসচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যানটিনে কর্মরত এক বালককে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার অভিযোগে ইমাম শহিদুল ইসলামকে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা।
শহিদুল ইসলাম হাটহাজারী উপজেলার মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে। এর আগে আবাসিক হল এ এফ রহমানে হলের ইমামের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও শহিদুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ইমাম শহীদুল ইসলাম বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ওই বালককে যৌন নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবনের পেছনের জঙ্গলে নিয়ে যান। একপর্যায়ে বালক চিৎকার শুরু করলে বালকের বড় ভাই (একই ক্যানটিনের কর্মচারী) ও শিক্ষার্থীরা গিয়ে বালককে উদ্ধার করে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে শহীদুল ইসলাম বালকের বড় ভাইকেও যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও যৌন হয়রানিমূলক আচরণে লিপ্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মসজিদের ইমামকে যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মারধর করেছে ছাত্ররা। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।