বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ঘিরে পর্যটন খাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তবে অপরিকল্পিত স্থাপনা ও অব্যবস্থাপনায় কিছু বাধা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংসদ সচিবালয়ের আয়োজনে জেলার পর্যটনসংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।
উবায়দুল মোকতাদির বলেন, এখানে পর্যটনের নামে যেসব অবকাঠামো হচ্ছে, এর কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই পর্যটনশিল্পের বিকাশে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে তা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে সুপরিকল্পিতভাবে ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনি ও শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্টরা সেন্ট মার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপ পরিদর্শন করেন।