নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আয়েশা আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। নিহতে স্বজনদের দাবি, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আয়েশাকে হত্যা করে পালিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। পুলিশের ধারণা, বিষপানে মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আয়েশা চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার সমসু মিয়ার মেয়ে। ১১ বছর আগে একই ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে হিরণ মিয়ার সঙ্গে আয়েশার বিয়ে হয়।
গৃহবধূ আয়েশার বাবা সমসু মিয়ার অভিযোগ, তিনি তিন বছর আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেন হিরণকে। সম্প্রতি আবারও দুই লাখ টাকার জন্য আয়েশাকে চাপ দেন হিরণ। টাকা দিতে রাজি হননি আয়েশা। এরপর থেকে আয়েশার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ কারণে সোমবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়।
নিহতের ভাই নাজমুল হক জানান, তাঁর বোনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মুরাদ হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষপানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।’