রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা এলাকার বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খননের সময় একটি মর্টার শেল উদ্ধার হয়েছে। মর্টারশেলটি সক্রিয় ছিল; বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হতো বলে জানিয়েছে র্যাব।
মর্টার শেলটি উদ্ধারের পর র্যাব জানিয়েছে, এটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরোনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। ছিল সক্রিয় এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
এর আগে বুধবার দুপুরে মর্টার শেল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপপরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, খনন করা মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি, আরও কোনো বোম সেখানে রয়েছে কি না। তবে আমরা আর কোনো বোমার সন্ধান পাইনি।
বোমাটি কোথা থেকে এল এবং কীভাবে এল-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, বোমাটির দুটি উৎস হতে পারে। হতে পারে এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরে কেউ এটি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছে। মরিচা পড়ে বোমাটির গায়ে মার্কিনগুলো দেখা যাচ্ছে না, তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।