বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে রিমান্ড শেষে এ্যানিকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই শহীদী হাসান তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রিমান্ড প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ্যানিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। পুলিশের দায়ের করা এই মামলা শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর নাম রয়েছে। এই মামলাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১১ অক্টোবর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। ওই দিন তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেদিন আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরস্পর যোগসাজশে সরকার উৎখাত করাসহ জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন করার জন্য আসামিরা এই কাজ করে। এ্যানিও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
জানা গেছে, ১১ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির একপর্যায়ে এ্যানি কিছু বলবেন কি না, বিচারক জানতে চাইলে তিনি (এ্যানি) বিচারকের সামনে কান্না জড়িত কণ্ঠে পুলিশের দ্বারা নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
এ্যানিকে গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ধানমন্ডি থানার পুলিশ।
গত বুধবার সকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এ্যানিকে আটকের বিষয়টি জানান। জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, মধ্যরাতে এ্যানিকে দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এ্যানির আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিমান্ড শেষে আদালতের হাজতখানায় তাঁকে হাজির করা হয়। তবে আদালতের কাঠগড়ায় তাঁকে নেওয়া হয়নি। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর তাঁকে হাজতখানা থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।’