Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সাবেক মন্ত্রী মোশাররফের ভাই বাবরসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক মন্ত্রী মোশাররফের ভাই বাবরসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে অধিকতর তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই মামলায় গত কয়েকটি ধার্য তারিখে মোহতেশাম বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি চলছিল। আজও আরও শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শুনানি করতে গিয়ে দেখা যায়, অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেককেই অভিযোগ পত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান আজ একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদেরও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিমও এই মামলার আসামি। 

আসামিদের মধ্যে বরকত, রুবেল, লেভী, ফারহান, বাবর ও ফুয়াদ কারাগারে রয়েছেন। অপর চার আসামি পলাতক। 
 
এর আগে গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল।

এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

আত্মহত্যা করতে যাওয়া দোলা আজ স্বাবলম্বী

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

কলাবাগানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় সমন্বয়কসহ ১৪ জন আটক

উল্টো পথে বিএনপি নেতার গাড়ি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা

ছোট্ট শিশুটির বড় বিপদ

হিযবুতিদের দৌড়ানি দিলে তারা আমাকে মারধর করে: সেই রিকশাচালক

উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের ৩ সদস্য রিমান্ডে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

পল্টনে সংঘর্ষের সময় আটক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনলেন উপদেষ্টা আসিফ