২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত জনির বাবা ইয়াকুব আলী গত সোমবার বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন।
মামলায় সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়াও পুলিশের বর্তমান ও সাবেক আরও ১৩ কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সাড়ে ৯ বছর পর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপি ডিবির সাবেক উপ পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন, ডিবি রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও আবু সায়েদ।
জনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এর আগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।