মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগ সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানান হয়েছে, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় উভয় পক্ষ দাবিদাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করে একাধিক বিষয়ে একমত হয়েছে। এরপর যৌক্তিক ও স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো চিহ্নিত করে ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদকে অবহিত করা হয়।
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্রথম, শূন্যপদ পূরণ সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ সম্পর্কিত দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। দ্বিতীয় দাবি, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য দাবি যেমন—প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম পরিবর্তন এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগের বিষয়গুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরেও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কিত থাকায়, সেগুলো পূরণ সময়সাপেক্ষ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সভার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতকৃত ‘নোটস অব ডিসকাসন’-এ উভয় পক্ষ সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার ৪ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছিল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। বেলা ৩টায় দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব তুহিন ফারাবির সঙ্গে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঢোকেন। কিন্তু আলোচনা সন্তোষজনক না হওয়ায়, বিকেলের দিকে শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এরপর রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহমদউল্লাহ মনসুর ঘোষণা করেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঢাকা ছাড়বেন না।